পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃসজ্ঞিব দাস,গলাচিপা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন। বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলা রিপোটার্স ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ওয়ান এলিভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পরে রাঙ্গাবালী উপজেলায় সর্বপ্রথম বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ত্যাগী নেতা মো. মিলন খলিফা।
মিলন খলিফা বলেন, আমার বাবা নুরুল ইসলাম খলিফা বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে তার হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আ’লীগ রাঙ্গাবালী উপজেলা শাখার গংগীপাড়া গ্রামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাবার ধারাবাহিকতায় আমিও প্রথম ছাত্রলীগ এবং বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের পদে ৭ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার ভীষণ ও মিশনকে সফল করার জন্য রাজপথে পড়ে আছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের একই ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শান্তি কমিটির সদস্য ছিল রাজাকার আলতাফ খলিফা। আলতাফ খলিফার ছেলে ছানাউল্লাহ খলিফা বিএনপি-জামাতের একনিষ্ঠ কর্মী ও উপজেলা যুবদল নেতা বাদী হয়ে আমিসহ আমার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে রাঙ্গবালী থানায় একটি এজাহারকৃত মামলা করে।
যার সম্পূর্ণ ইন্ধন দিচ্ছে রাঙ্গাবালী থানার ওসি। রাঙ্গাবালী থানার ওসি টাকার বিনিময়ে আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কোন নেতা কর্মী তিনি মূল্যায়ন করেন না বলে তিনি জানান। রাঙ্গাবালী থানার ওসির ছত্র ছায়ায় বিএনপি-জামাতের লোকজন আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা করে রাঙ্গাবালী থানায়।
তার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে এ পর্যন্ত মিলন খলিফার পরিবার রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি ত্যাগী আওয়ামীলীগের পরিবার। আ’লীগের সাথে জড়িত থাকায় ২০০১ সালে বিএনপি-জামাতের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এই পরিবারটি।
মিলন খলিফার বাবা আ’লীগের ত্যাগী নেতা ১৯৭০ এর বন্যায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ত্রাণ দেওয়ার জন্য রাঙ্গাবালী উপজেলায় আসলে তখন বঙ্গবন্ধুর হাতে একটি ত্রাণ কমিটি গঠন হয়। সেই কমিটির সদস্য ছিলেন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তিবাহিনী যখন রাঙ্গাবালীতে আসে তখন মিলন খলিফার বাবা নুরুল ইসলাম খলিফা মুক্তিবাহিনীদের তার বাসায় আশ্রয় দিয়ে দেখাশোনা করেন।
দুঃখের বিষয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বারবার ক্ষমতায় আসলেও এই পরিবারটি বিএনপি-জামাতের রোষানল থেকে এখনও মুক্তি পান নি। বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত চলেছে বলে জানান মিলন খলিফার বাবা। মিলন খলিফার বাবা রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে
আছেন। মিলন খলিফার বাবা বলেন, আমার পরিবারটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনৈতিক শান্তিপ্রিয় পরিবার। তিনি দুঃখ ভরাক্রান্ত কন্ঠে বলেন, আমি মানবতার মা, জনদরদী, বিশ^ নন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করি। এ বিষয়ে মিলন খলিফা সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।